একটা থ্রিলার মুভি দেখার স্বার্থকতা তখনি হয় যখন মুভিটি শেষ করার পর আপনার মুখ থেকে আপনা আপনি “শেষ ভালো যার, সব ভালো তার” কথাটা বেরিয়ে আসে। কারণ আমরা যারা থ্রিলার লাভার তারা মুভির শুরুতেই মুভির কাহিনী কি হতে পারে সেটা পূর্বানুমান করে থাকি। যখন আপনার সব অনুমান ঠিক হতে থাকে তখন আপনি মুভিটা দেখার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু সব অনুমান ঠিক হতে হতে হঠাৎ যদি কাহিনীটা অন্যদিকে মোড় নেয় তাহলে আপনি আবার জড়োসড়ো হয়ে বসেন মুভিটা শেষ অবধি দেখার জন্য। থ্রিলার মুভি দেখার মজাটাই এখানে। যাইহোক এই মুভিটার ব্যাপারে আসি।আসলে থ্রিলার মুভির রিভিউ দিলে মুভির মজাই নষ্ট হয়ে যায়। তবুও হালকা স্পয়লার যুক্ত একটা রিভিউ দিচ্ছি। আমরা সবাই নিজেদের রীতিনীতি, বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকি। সিনেমার প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয় গ্রামের একজন নেতা বনের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা পুরাতন বাংলোর সামনে এসে খুন হয়। সবাই বলাবলি করতে থাকে যে তাকে নাকি ভূতে খুন করেছে। ভূত বলে আদৌ কি কিছু আছে নাকি অন্য কেউ খুন করে ভূতের উপর দোষ চাপাচ্ছে। এই খুনের রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব দেয়া হয় ‘ইন্সপেক্টর কার্তিক’ কে। যার স্ত্রীও তখন খুব ডিপ্রেশনে থাকে। এই একটা খুনের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে আরও অনেক রহস্য উন্মোচিত হতে থাকে।অর্থাৎ “কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ” বেরিয়ে আসতে থাকে। আর সেসব দেখতে হলে আপনাকে শেষ পর্যন্ত মুভিটি দেখতে হবে।
সাবটাইটেলটি ভালো লাগলে ভালো মন্দ ফিডব্যাক জানাবেন। উপরের রেটিং অপশন থেকে রেটিং প্রদান করবেন।